জ্বর নিরাময়ের ঘরোয়া টিপস


জ্বর মানুষের শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে একটি প্রক্রিয়া। তবে জ্বর হলেই যে আমরা সব সময় ওষুধ সেবন করব তা কিন্তু নয়। সব সময় ওষুধ সেবন করাটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই সব সময় জ্বর হলে আমরা ওষুধ না খেয়ে কিছু ঘরোয়া টিপস ফলো করে পারি যা জ্বর সারাতে সাহায্য করবে।


চলুন জেনে আসি জ্বর কমানোর কিছু সহজ ঘরোয়া টিপস


বিশ্রাম করা

জ্বরের কারণে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই আমাদের অতিরিক্ত কাজ না করে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।


⛯  পানি ও তরল খাদ্য গ্রহণ করা

জ্বরের জন্য আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা বেড়ে যায়। তাই আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করেত হবে। পানি পান করার পাশাপাশি নারিকেল পানি পান করা, জুস বা স্যুপ খাওয়া। এগুলো খেলে আমাদের শরীর ঠাণ্ডা থাকে ফলে শরীরে পানিশূন্যতা কম হবে এবং টফ্রিন শরীর থেকে বের হয়ে যাবে।


তুলসি ও আদা একসাথে মিশিয়ে পান করা

তুলসি ও আদা এই দুইটা জিনিসই প্রাকৃতিক ওষুধ। যা আপনার জ্বরকে সারাতে কাজ করবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। দিনে ২ থেকে ৩ বার ৪ টা থেকে ৬ টা তুলসি পাতা ও ১ চা চামচ আদা কুচি করে পানিতে সিদ্ধ করে হালকা গরম অবস্থায় পান করতে হবে। এমন ভাবে দিনে কয়েক বার খেলে জ্বর ও শরীর ব্যথা কমে যায়।


মধু ও লেবু পানি পান করা

মধু ও লেবুর পানি এটিও একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। জ্বর হলে দিনে ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১ চা চামচ মধু ও লেবুর কয়েক ফোঁটা রস একসাথে মিশিয়ে খেতে হবে তাহলে শরীরের জ্বর কমতে শুরু করবে এবং শরীরের ইমিউন সিস্টেম কে অনেক বজবুত করবে। মধু ও লেবু পানি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ।


পানি পট্টি করা

জ্বর হলে দিনে ২ থেকে ৪ বার পানি পট্টি করতে হবে। যদি জ্বর বেশি হয় তাহলে দিনে পানি পট্টি  ৩ থেকে ৬ বার করতে হবে কারণ পানি পট্টি করলে শরীরে তাপমাত্রা টা বজায় থাকে। তাই জ্বর হলে পানি পট্টি করাটা জরুরী ।


জ্বর অবস্থায় খাবার গ্রহণ

জ্বরের সময় তৈলাক্ত খাবার ও ভারী খাবার গ্রহণে একটু সতর্ক থাকটে হবে। জ্বরের সময় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। স্যুপ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা, খিচুড়ি, ভাত, বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর ফলমূল খাওয়া। এতে শরীরের শক্তি দ্রুত সঞ্চয় হয়।

ডাক্তারের পরামর্শ কখন নেওয়াটা জরুরী

ঘরোয়া টিপস অনুসরণ করার পরেও যদি ৩ দিন বা তার বেশি সময় ধরে জ্বর থাকে।

শরীরের তাপমাত্রা যদি প্রায় সময় ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকে বা তার থেকে বেশি থাকে।

অতিরিক্ত দুর্বল ভাব বা কাঁপুনি যদি বেড়ে যায় ।

উপরোক্ত কারণ  গুলো যদি জ্বরের সময় প্রকাশ পায় তাহলে নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।


পরিশেষে, সুস্থ শরীরের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করাটা জরুরী। তৈলাক্ত খাবার কম খেতে হবে বা না খাওয়ায় ভালো। বাসী ও পোঁচা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকাতে হবে। ধূমপান, মদ্য পান বা নেশা জাতীয় সবকিছু থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। 



Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

সবকিছু জানার শুরু - এইখান থেকেই