কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় কথাটা কিছুটা অবাস্তব মনে হলেও আসলে কথাটা অবাস্তব নয়। বর্তমান সময়ে এসে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় অনেক মাধ্যমে। হাতে টাকা মোবাইল দিয়ে অবসর সময় কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় কিছু কিছু টাস্ক সম্পূর্ণ করে ও অ্যাড দেখার মাধ্যমে।

কিভাবে-ফ্রি-টাকা-ইনকাম-করা-যায়

আমরা এই ব্লগ এর মধ্যে জানব কিভাবে হাতে দেখা মোবাইল দিয়েই দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায় খুব সহজেই। এজন্য কোন অগ্রিম অর্থের প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র কিছু কিছু টাস্ক ও অ্যাড দেখার মাধ্যমেই টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

সূচিপত্রঃ কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়

কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় এই কথাটি একসময় অবাস্তব মনে হলে বর্তমান সময়ে এটি একটি বড় বাস্তবতা এখ।ন সময়ের সাথে সাথে যুগটাও আধুনিকতার ছোঁয়ায় সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মানুষ আর কষ্ট করে টাকা উপার্জন করছে না। তার মেধা শক্তি কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করছে কোন শ্রম ছাড়াই। বর্তমান যুগটা ডিজিটাল যুগ। কোন কাজ শুরু করা থেকে সে কাজটা বাস্তবায়ন করা পর্যন্ত ডিজিটাল চিন্তা ভাবনা ছাড়া উপায় নেই। কারণ পুরো মার্কেটপ্লেসটাই হয়ে গেছে অনলাইন ভিত্তিক। আর সেই অনলাইনকে কাজে লাগিয়েই অনেক মানুষ অনেক ভাবে টাকা উপার্জন করছে।
আরও পড়ুনঃ
আমাদের সমাজের তরুণ প্রজন্মরা তাদের মেধা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে টাকা ইনকাম করছে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মদের মধ্যে তাদের চিন্তাশক্তি দিন দিন অগ্রগতি হচ্ছে ফলে তারা শারীরিক কোন কাজ না করেই মাসে হাজার থেকে শুরু করে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। বর্তমান যুগে অসম্ভব বলতে কিছুই নেই। শুধু আগ্রহ, ইচ্ছা শক্তি ও চেষ্টার মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করা সম্ভব।

আমরা এখন জানবো কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায় তার কিছু মাধ্যম। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে অনলাইন প্লাটফর্মে যেমন ভালো সাইট আছে ঠিক তেমনি মানুষকে ফাঁদে ফেলার জন্য অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা অফার সম্পর্কিত পোস্ট করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে মানুষের যাবতীয় তথ্য নিয়ে নেয়। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা আপনাদেরকে এমন সব সাইটের কথা বলব যেগুলো নিরাপদ। তাই আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো।

দৈনিক কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব

অনলাইন থেকে কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায় করা যায় এ কথাটি চিন্তা করার আগেই সর্বপ্রথম চিন্তা আসে দৈনিক কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব এই প্রশ্নটি। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আমি আপনাদেরকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ সম্পর্কের বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে চলুন জানা যাক দৈনিক কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব। যাদের কিছু অভিজ্ঞতা আছে বিভিন্ন কাজের যেমন ডাটা এন্ট্রি, এম এস ওয়ার্ড ফাইল, ডাটা মাইনিং ইত্যাদি এমন কাজের।

তারা যদি অনলাইন প্লাটফর্ম ভিত্তিক কাজ করে যেমন আপওয়ার্ক, ফাইভার ইত্যাদি এমন প্লাটফর্মে নিজেদের আইডি বানিয়ে কাস্টমারদের সাথে কথা বলে কাজ পায় তাহলে মাসে একটি ভালো অঙ্কের টাকা ইনকাম করা সম্ভব। মোটামুটি ৪০০ থেকে ১০০০ ডলারের মত। আমি টাকার সংখ্যাগুলো বলছি এমন না যে এই টাকাই ইনকাম হবে। হতে পারে কাজের ভিত্তিতে এর থেকেও আরো বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন আবার এর থেকে কমও টাকা ইনকাম হতে পারে।

তবে চেষ্টা করলে এর থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। চলুন এবার জেনে আসা যাক বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ফ্রিতে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমান সময়ে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি আপনার হাতের মোবাইলের মাধ্যমেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।

ছোট ছোট কিছু টাস্ক ও অ্যাড দেখার মাধ্যমে। যদি আপনি পরিপূর্ণভাবে সময় দিয়ে টাস্ক ও অ্যাড দেখেন তাহলে দৈনিক ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। আবার রেফার এর মাধ্যমে এর থেকে বেশি ইনকাম সম্ভব। তবে এর জন্য আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে। তাহলে আপনি এরকম অ্যাড ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় কাজ হলো আর্টিকেল রাইটিং। এ কাজটি এখন বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। কেননা আর্টিকেল রাইটিং কাজটি ঘরে বসেই করা যায় এবং এর জন্য বেশ ভালো অঙ্গের একটি টাকা পাওয়া যায়। যেমন একটি আর্টিকেল রাইটিং লেখার জন্য ২০০ থেকে শুরু করে ১০০০ পর্যন্ত টাকা পাওয়া যায়।

অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম

কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায় এই প্রসঙ্গের আলোচনা আসলেই তার একটি প্রথম উত্তর হয় অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করা। বর্তমান সময়ে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করা একটি জনপ্রিয় কাজ। আর এর জনপ্রিয় পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজের তরুণ প্রজন্মরা তাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করছে খুব সহজে। অ্যাড দেখা ও ছোট ছোট টাক্স কমপ্লিট করে দৈনিক ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে।

বর্তমান সময়ে কোন কিছু কাজ বা ব্যবসা বা কোন কিছু প্রচার করার জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করা হয়। অনলাইন প্লাটফর্ম ছাড়া দ্রুত কোন কিছু প্রচার করা সম্ভব নয় আর সেজন্যই এই যুগে অনলাইন প্লাটফর্মের কোন বিকল্প নেই। তাই এ প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমেই কোন প্রতিষ্ঠান এড দেখানোর জন্য চার্জ দিয়ে থাকে আর সেখান থেকেই অ্যাড দেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম হয়।

এই কাজটির পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করা বা ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা এরকম কথাগুলো শুনেই যেন অবাস্তব লাগতো। কিন্তু এখন বর্তমান যুগে এসে এটি একটি বড় বাস্তবতা। সময়ের সাথে সাথে যোগ পরিবর্তন হয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়। তাই এখন নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে অনেক ইনকাম করা সম্ভব।

অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম কিভাবে হয়

এতক্ষণ আমরা বলছিলাম অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু অনেকের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে অ্যাড দেখে আসলে কিভাবে টাকা ইনকাম হয় আর এই টাকা কে দেয়। এখন আমরা জানব অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম কিভাবে হয়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আমি আগেই বলেছি বর্তমান যুগটা অনলাইনের যুগ। কোন কিছু শুরু করা থেকে শেষ করা পর্যন্ত অনলাইনে গুরুত্ব অপরিসীম।

কেননা অনলাইনের মাধ্যমে পূর্বের তুলনায় অনেক গুণ বেশি কাজ করে কাজের ফলাফল নিয়ে আসার জন্য। প্রথমত আমরা জানবো মানুষ কেন ওয়েবসাইটে অ্যাড দেয়।কোন কোম্পানি যদি কোন প্রোডাক্ট মার্কেট প্লেসে নিয়ে আসে তাহলে তার পরিচিতি নিয়ে আসার জন্য বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে সে কোম্পানিগুলো ওয়েবসাইটে এড চালায় তাদের প্রোডাক্টের পরিচিতি পাওয়ার জন্য এবং মানুষের কাছে সে প্রোডাক্টও প্রোডাক্টের সার্ভিস সম্পর্কে জানানোর জন্য।অনেক সময় দেখা যায় অনেক কোম্পানি তাদের সার্ভিস নিয়ে কাজ করে ।

তখন সেই কোম্পানি তাদের সার্ভিস নিয়ে বিস্তারিত একটি তথ্য নিয়ে একটি অ্যাড ওয়েবসাইটে দেয়।আর তা দেখে মানুষ সেই কোম্পানির সার্ভিস সম্পর্কে জানে এবং সে সার্ভিস নেওয়ার জন্য সে কোম্পানি গুলোর সাথে যোগাযোগ করে আর এজন্যই মূলত কোম্পানিগুলো এজেন্সির মাধ্যমে ওয়েবসাইটে অ্যাড চালাই এজেন্সিকে টাকা দিয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করে তাদেরকে পেমেন্ট কে দেয়।

যেহেতু কোম্পানিগুলো কোন একটি নির্দিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে অ্যাড চালাই সে এজেন্সি গুলো সেই কোম্পানির অ্যাড গুলো দেখার জন্য কিছু অর্থ প্রদান করে থাকে। আর এভাবেই অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম হয়।

অ্যাড দেখার জন্য কি করতে হয়

অ্যাড দেখা কাজটি বর্তমান যুগে এসে বিপুল পরিমাণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এতক্ষণ আমরা আলোচনা করছিলাম অ্যাড দেখে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয়। কিন্তু অ্যাড দেখার জন্য কি কি করতে হয় এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করি নি। এখন আমরা আলোচনা করব এ বিষয় টা নিয়ে। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক অ্যাড দেখার জন্য কি কি করতে হয়।
কিভাবে-ফ্রি-টাকা-ইনকাম-করা-যায়

প্রথমত অ্যাড দেখার জন্য অ্যাড সাইটে যেতে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে অ্যাড দেখার জন্য কোন সাইটে যেতে হবে। এ বিষয়টা নিয়ে আমরা নিচের পার্টে আলোচনা করব। অ্যাড দেখার জন্য অ্যাড সাইটে একটি নিজের নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হচ্ছে প্রথম ধাপ। অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় অবশ্যই সঠিক তথ্য দিতে হবে।

তারপরে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইয়ের জন্য কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে ওইয়েবসাইটের নীতিমালা অনুসরণ করে। আপনি যখন কোন অ্যাড অ্যাকাউন্টে ভেরিফাইয়ের জন্য আবেদন করবেন তখন অবশ্যয় মনোযোগ দিয়ে করতে হবে যাতে ভুল না হয়। যদি ভুল হয় তাহলে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হবে না। আর যদি ভেরিফাই না হয় তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব না।
আরও পড়ুনঃ
অ্যাড অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন হবে ডিভাইস,মোবাইল নাম্বার, ইমেইল এবং পেমেন্ট মেথড। এসবগুলো থাকলে আপনি অ্যাড অ্যাকাউন্টে নিজের নামে একটি ভেরিফাই অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

গেম খেলে টাকা ইনকাম

এতক্ষণ আমরা জানলাম একটি বিষয় নিয়েই যে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে অর্থাৎ কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় ছোট ছোট টাস্ক ও অ্যাড দেখার মাধ্যমে। তবে আমরা এবার জানব একটু ভিন্ন পন্থায় কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা এবার জানবো বিভিন্ন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে। অনলাইন প্লাটফর্মে এমন অনেক সহজ সহজ গেম আছে যেগুলো খেলার মাধ্যমে দৈনিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

তবে এমন অনেক অনলাইন প্লাটফর্ম আছে যেগুলোতে গেম খেলতে টাকার প্রয়োজন হয় অর্থাৎ গেম খেলার আগেই টাকা রিচার্জ করতে হয় এবং তারপরেই সেই গেমগুলো খেলতে পারা যায়। বর্তমানে ফ্রিতে গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় এরকম ওয়েবসাইট নেই বললেই চলে। যেগুলো আছে সেগুলো পেইড ভার্সন অর্থাৎ টাকা দিয়ে গেম খেলতে হয়।

টাকা দিয়ে গেম খেলতে গেলে সেখান একটা আশঙ্কা থেকেই যাই। কেননা টাকা দিয়ে গেম খেলতে গেলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু সেখানে আবার টাকা হারতেও পারেন অর্থাৎ এটি এক প্রকার জুয়া খেলার মত।তাই আমার পরামর্শ থাকবে এরকম অনলাইন গেম না খেলাই ভালো। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে গেলে নিরাপদ ভাবে ইনকাম করাই ভালো।

যেমন আমি বললাম অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করা, বিভিন্ন টাস্ক কমপ্লিট করে টাকা ইনকাম করা, আবার নিজের দক্ষতা থাকলে অনলাইন যেসব প্ল্যাটফর্ম আছে সে প্লাটফর্মে কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা। কেননা বর্তমান সময়ে অনেকেই আছে যারা এসব প্লাটফর্ম থেকে অনেক টাকা ইনকাম করছে খুব সতর্ক ও নিরাপদ ভাবে।

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সাইট

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু আমরা এখনো কোন সাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা করিনি। তবে আমরা এই পয়েন্টের মধ্যে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে ছোট ছোট কিছু কাজ করার জন্য পেমেন্ট দিয়ে থাকে। আবার এমন কোন প্লাটফর্ম আছে যেগুলো অবৈধ এবং ক্ষতিকর আমরা সেগুলো থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে চলবো।

তবে ভয়ের কোন কারণ নেই আমরা আপনাদেরকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার এমন কিছু সাইটের নাম বলবো সেগুলো আপনার জন্য হবে নিরাপদ। তবে আপনারাও নিজেদের মতো করে যাচাই-বাছাই করবেন। কেননা আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে অবৈধ ওয়েবসাইট থেকে। তাহলে চলুন জেনে আসা যাক ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার সেরা ১২টি ওয়েবসাইট।
  • মাই পয়েন্ট
  • টাইম বাস্ক
  • অ্যাড ওয়ালেট
  • আর্ন হনি
  • ফ্রি ক্যাশ
  • ডেইলি টাকা
  • ওয়াও অ্যাপ
  • বাজ ব্রেক
  • ক্লিপ ক্লাপ
  • কয়েন পাও
  • আপ ওয়ার্ক
  • ফাইভার
এ সকল ওয়েবসাইট থেকে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় খুব সহজেই। এই ওয়েবসাইটে আপনারা নিজেদের নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ছোট ছোট কিছু কাজ সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে দৈনিক ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তবে সতর্ক থাকবেন অবৈধ ওয়েবসাইট থেকে। অবৈধ ওয়েবসাইটে আপনাদেরকে একটি ধোকার ভেতরে ফেলবে অফার কেন্দ্রিক কোন কিছু দিয়ে।

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট

উপরোক্ত বিষয়গুলোর পরে আসে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কাজ করার পরে সে কাজের পেমেন্ট আমরা কিভাবে নিব এবং তার প্রসেসটা কি। চলুন তাহলে জেনে আসি কিভাবে টাকা ইনকাম করে বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিবেন। প্রথমত আমি আগেই বলেছি যাদের কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা থাকে যেমন ডাটা এন্ট্রি, ডাটা মাইনিং ইত্যাদি এমন ধরনের কাজে তারা আপ ওয়ার্ক বা ফাইবারের মতো মার্কেটপ্লেসে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে আপনাদের যাদের ডুয়েল কারেন্সি ব্যাংকের কার্ড আছে তাদের জন্য পেমেন্টের জন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নাম্বার থাকলে হবে। ব্যাংকের কার্ড থাকলে পেমেন্ট বিষয়টা খুবই সহজ হয় কিন্তু যাদের ডুয়েল কারেন্সি ব্যাংকের কার্ড নেই তাদের জন্য একটু পেমেন্ট বিষয়টা জটিল। কিন্তু টেনশনের কোন কারণ নেই আমি আপনাদেরকে ব্যাংকের কার্ড না থাকলেও কিভাবে আপনারা পেমেন্ট নিবেন তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি বিস্তারিত ধারণা দিব।

আশা করি আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লেই আপনারা এর সম্পূর্ণ বাস্তবধারণা পাবেন। যদি আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ডলার ইনকাম করেন তাহলে সে ডলারটি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত নিয়ে আসতে কিছু ধাপ পার করতে হবে। আমরা বাইনান্স এর নাম শুনেছি, অনেকেই আছে এর সাথে পরিচিত। এটি একটি ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার যার মাধ্যমে খুব নিরাপদে ডলার থেকে বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করতে পারবেন। তাহলে ডলার ইনকাম করার পরে সর্বপ্রথম প্রচেষ্টা হচ্ছে বাইনান্সে নিজের নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা।

অবশ্যই সেখানে নিজের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কেননা সেখানে ফেস ভেরিফিকেশন হয়। সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ড সে ব্যক্তি ফেস লাগবে। বাইনান্সে অ্যাকাউন্ট হয়ে গেলে আপনারা যে ওয়েবসাইটে কাজ করবেন সে ওয়েবসাইটের পেমেন্ট মেথডে বাইনান্সের ইউজার আইডি বা কোড থাকবে সেটা বসাবেন তাহলেই আপনারা যেই ডলার ইনকাম করবেন সে ডলার আপনার বাইনান্স অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।সেখান থেকে আপনি অনায়াসেই ডলার থেকে বাংলাদেশী টাকা করে নিতে পারবেন।

বাইনান্সের প্রসেসটা হলো কোন ব্যক্তি ডলার কিনবে বাংলাদেশী টাকার বিনিময়ে আর আপনি ডলার বিক্রি করবেন বাংলাদেশী টাকার বিনিময়ে।এভাবেই ডলার এবং টাকা আদান-প্রদানের মাধ্যমেই ডলারকে টাকায় এবং টাকাকে ডলারে কনভার্ট করা যায়।

দৈনিক ইনকাম বাড়ানোর টিপস

আমরা জানলাম কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায় আবার সেই টাকা বিকাশে কিভাবে পেমেন্ট নেওয়া যায়। আমাদের সবারই একটা আশা থাকে,কিভাবে যেই প্লাটফর্মে কাজ করছি সেখান থেকে অতিরিক্ত টাকা বা দৈনিক ইনকাম বাড়ানো যায়। এই বিষয়টা নিয়েই আমাদের আজকের এই টপিক সাজানো হয়েছে। আমরা আপনাদের সাথে এমন কিছু টিপস শেয়ার করব যেগুলো দৈনিক ইনকাম বাড়ানোর জন্য কার্যকরী।

দৈনিক ইনকাম বাড়ানোর বিষয়টা আসলেই একটা বিষয় প্রথমে আসে সেটা হচ্ছে রেফার করা। আপনি যদি বেশি বেশি রেফার করেন এবং সেই রেফার অনুযায়ী অন্য কেউ যদি কাজ করে তাহলে আপনি সে কাজের ভিত্তিতে কিছু অতিরিক্ত কয়েন বা টাকা পাবেন। তাই যত সম্ভব বেশি বেশি রেফার করতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি একসাথে একাধিক ওয়েবসাইটে কাজ করেন তাহলে আপনি দিনশেষে একটি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যদি একাধিক ওয়েবসাইটে কাজ কয়ার পরে একাধিক ওয়েবসাইটের জন্য বেশি বেশি রেফার করা হয় তাহলে যতজন সেই ওয়েবসাইটে কাজ করবে সে রেফার অনুযায়ী রেফারকারীকে কমিশন দেয়া হয়। তাই এজন্য সর্বোচ্চ সম্ভব পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে রেফার করা। এ সকল কাজের পাশাপাশি আর্টিকেল রাইটিং কাজটি করলে স্বল্প সময়ে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। তাই ওয়েবসাইটের কাজের পাশাপাশি কেউ যদি আর্টিকেল রাইটিং শিখে সে কাজটা করে তাহলে সব মিলিয়ে ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

একটা মোবাইল থেকে কতগুলো সাইটে ইনকাম করা সম্ভব

আমাদের বিষয়টা ছিল কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় হাতে থাকা মোবাইলটির মাধ্যমে। আমরা জানলাম কিভাবে অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করতে হয় এবং সেই টাকা কিভাবে বিকাশে পেমেন্ট নিতে হয় এবং দৈনিক কিভাবে ইনকাম বাড়ানো যায় সে বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা জানলাম। আমি পূর্বের পয়েন্টে বলেছিলাম একাধিক ওয়েবসাইটে কাজ করার বিষয় নিয়ে।
কিভাবে-ফ্রি-টাকা-ইনকাম-করা-যায়

এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে আমার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলটি দিয়ে সর্বোচ্চ কয়টি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারব। এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে একটি মোবাইল দিয়ে সর্বোচ্চ দুই থেকে চারটি সাইট থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব এর বেশিও করা যায়। কিন্তু বেশি করতে গেলে একটা বিশাল সমস্যার মধ্যে পরতে হয়।

সেটা হচ্ছে যখন একটি মোবাইল দিয়ে অনেক ওয়েবসাইটে লগইন হবে তখন মোবাইলের আইপি এড্রেস একই হয় ওয়েবসাইটের অ্যাকাউন্ট গুলো ব্যান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই একটি মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ দুই থেকে চারটি ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেই অ্যাকাউন্টে কাজ করা ভালো।

অবৈধ ওয়েবসাইট থেকে বাঁচার উপায়

ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে ছোট ছোট কিছু টাস্ক ও অ্যাড দেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু টাস্ক ও অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম খুবই সীমিত হয়। এজন্য অনেক সময় ব্যয় করতে হয় এসব ওয়েবসাইট এর পেছনে। কিন্তু মার্কেটপ্লেস এমন অবৈধ ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে অফার দেখিয়ে লোভ দেখায়।

যেমন লগইন করলেই ১০০ টাকা বোনাস বা গেম খেললেই ৫০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস। এমন সব অফার থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। আবার কোন কোন ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে লগইন করতে গেলে ভিপিএন সংযোগ করতে হয়। এগুলো সব অবৈধ ওয়েবসাইট। এগুলো থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে। কেননা এগুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর।
আরও পড়ুনঃ
বিভিন্ন লিংক দিয়ে বলবে লগইন করতে এই কাজটি ভুলেও করা যাবে না। এমন হতে পারে লিংকে ঢুকে মাত্রই আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য তাদের কাছে চলে যাবে। অনলাইন প্লাটফর্মে প্রথম দিকে কাজ শুরু করার জন্য রেফার এর মাধ্যমে কাজ করলে এটি হবে সব থেকে নিরাপদ। কিন্তু অপরিচিত কেউ রেফার করলে সে রেফার এড়িয়ে চলাই ভালো। অর্থাৎ পরিচিত ব্যক্তিদের রেফারেন্স অনুযায়ী অনলাইন কাজ করা।

উপসংহারঃ কিভাবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় ছিল কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি ফ্রিতে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এবং সেই টাকা বিকাশ পেমেন্ট নিবেন কিভাবে। আরো আলোচনা করেছি দৈনিক ইনকাম বাড়াবেন কিভাবে এবং অবৈধ ওয়েবসাইট থেকে নিজেদেরকে কিভাবে দূরে রাখবেন এবং অবৈধ ওয়েবসাইট চিনবেন কিভাবে।আশা করি একটি পরিপূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি উক্ত আলোচ্য বিষয় থেকে।

আমাদেরকে সব সময় বৈধ উপায়ে টাকা ইনকাম করতে হবে। আমি ১২টি ওয়েবসাইটের কথা বলেছি যেখানে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায়। কোন বিষয়ে যদি দক্ষতা থাকে সে দক্ষ থাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানোর জন্য যে প্লাটফর্ম ব্যবহার করা দরকার সে প্লাটফর্মের বিষয়ও আলোচনা করেছি। পরিশেষে কিভাবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করা যায় এর একটি বিস্তারিত বাস্তবসম্মত একটি ধারণা আপনাদের সামনে এই পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়েছে।

আমাদের পোস্ট আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। আপনাদের প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
MD. Saroar Hossain Simul
MD.SAROAR HOSSAIN SIMUL
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট। তিনি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন।